প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী’র সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন ইসলামী বিধানের অন্যতম রোজা গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষের কষ্ট অনুধাবনের শিক্ষা লাভে সহায়তা করে। রোজার মাধ্যমে সহমর্মিতা ও সহনশীলতার শিক্ষা অর্জিত হয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় কিছু মানুষ খুবই ধনী আবার কিছু একেবারেই অনাহার, অর্ধাহারে কষ্টের মাধ্যমে তাদের দিন পার করে যাচ্ছে। সমাজের বিত্তবান মানুষগুলো না খেয়ে থাকা মানুষের দিকে দৃষ্টিপাত করছে না। সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এ অবস্থায় শুধুমাত্র ইসলামী অর্থব্যবস্থায় মানুষকে এ চরম বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। সমাজের অসহায় দুঃখী মানুষ আর্থিক দৈন্যতার কারণে তাদের জীবনের আনন্দ উপভোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আগের ধারাবাহিকতায় ছাত্রশিবির এতিম-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা জাগ্রত করতেই পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে এতিমদের নিয়ে ইফতার আয়োজন করেন বলে জানান।

ইফতার মাহফিলে নগর উত্তর সভাপতি আহমেদ সাদমান সালেহ বলেন আমাদের প্রিয় নবী জন্মের আগেই তার বাবাকে এবং দু’বছর পর মাকে হারিয়ে এতিম হিসেবে বেড়ে উঠেন। এজন্য তিনি এতিম শিশুদের ভালবাসতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নন। আমাদের সবাইকে একদিন প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে ইহজগতের মায়া ত্যাগ করতে হবে। নিজেদের কৃতকর্ম নিয়ে শেষ বিচারের দিন হাজির হতে হবে। তাই সমাজে আমাদের পাশে বেড়ে উঠা এতিম শিশুদেরকে হীন চোখে না তাকিয়ে বরং নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা করার জন্যে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। নগর উত্তর শিবির সেক্রেটারী আ স ম রায়হান’র পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন নগর উত্তর শিবির নেতা কামাল হোসাইন, আমান উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আনোয়ার এম আজহার প্রমুখ। পরে নেতৃবৃন্দ দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি এবং ফিলিস্তিন, সিরিয়া, মায়ানমারসহ বিভিন্ন দেশের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য সাহায্য চেয়ে মহান প্রভুর দরবারে দোয়া-মুনাজাত করেন।